রাত্রে-দেরি-করে-ঘুমালে-কি-হয়-রাত-জাগলে-কী-কী-সমস্যা-হয়-Bangla-Health-Tips

প্রবাদ আছে, রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়া আর সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠা সুস্বাস্থ্য, সম্পদ আর সাফল্যের চাবিকাঠি। সুস্থতার জন্য মানুষের প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। এরজন্য রাত হলো সবচেয়ে উপযোগী সময়। চলুন জেনে নেওয়া যাক 

রাত জাগার ক্ষতিকর দিকসমূহ - 



অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি - 

যুক্তরাজ্যের একদল গবেষকদের তথ্য মতে, যারা দেরিতে ঘুমিয়ে থাকে ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা বেশী। যারা রাত জাগার মত বদ-অভ্যাসটি গড়ে তুলেছেন, তাদের ৯০ শতাংশই মানুষেরা মানসিক রোগের শিকার বলে যানা যায় এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৩০ শতাংশের মতো। এ ছাড়া নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা - 

আমরা যখন ঘুমোই, সেই ঘুমোই আমাদের মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক খাবার হিসাবে কাজ করে থাকে। 
সে জন্য ভালো ঘুম না হলে, আমাদের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পরে। সেই সঙ্গে মনোযোগ এবং বুদ্ধি কমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলিও বিভিন্ন সময় ঘটে থাকে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোনও কিছু শেখার ক্ষমতার সাথে আমাদের ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সে জন্য ভালো ঘুম না হলে এই ক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে। 

উচ্চ রক্তচাপ - 

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা যায়, যদি একভাবে ২-৩ দিন ঠিক করে না ঘুমিয়ে থাকলে শরীরের ভীতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। তাই দীর্ঘসময় একভাবে রাত জেগে থাকা কখনো উচিত নয়।

ওজন বৃদ্ধি -  

২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, টানা কয়েকদিন ৬ ঘন্টার থেকে কম সময় ঘুমানোর ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। মানুষের ঘুম কম হয়ে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের ক্ষিদে বাড়তে থাকে আর বেশি মাত্রায় খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন বৃদ্ধি পায়। আর ওজন যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যেমন- ডায়াবেটিস ,কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের মতো নানাবিধ রোগ হয়ে থাকে। 

গড় আয়ু - 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকাল সকাল নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠে থাকে তার গড় আয়ু রাত জাগা ব্যক্তিদের থেকে প্রায় ছয় বছর বেশি। তবে এর সঙ্গে সেই ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, বয়স, ওজন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। আর যাদের জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইল অনিয়মে চলে তাদের গড় আয়ু কমতেই থাকে।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে -  

দিনের পর দিন রাত্রে দেরি করে ঘুমালে এবং রাত্রে ভালো ঘুম না হলে কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে। এর সাথে মন ও মেজাজ খিটখিটে ভাব থাকতে পারে। সেই কারণে চিকিৎসকেরা দৈনিক কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে, সঠিক সময়ে ঘুম এবং পরিপূর্ণ ঘুমের বিকল্প নেই

Post a Comment

Previous Post Next Post