ভাল ঘুম না হওয়ার কারনে অনেকেই আজ বিভিন্ন উপায় খুজে খুজে ক্লান্ত। খোজাটাও স্বাভাবিক, ঘুম না হলে মানুষের সব কিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। যেমন- মেজাজ খিটখিটে ভাব, খাবের রুচিহীনতা, কর্মজীবনে এবং ব্যাক্তি জীবনেও অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। ভাল স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন প্রত্যেকদিন গ্রহন করা উচিৎ ঠিক তেমনি ভালো ঘুমও খুবই দরকার। অনেকের ভাল ঘুম না হওয়ার মুখ্য কারন হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা। আমরা যদি কিছু উপায় মেনে চলি আশাকরি আমাদের ঘুম ভালো এবং আরামদায়ক হবে। তাহলে উপায়গুলো দেখে নেওয়া যাক
ভালো ঘুম না হলে কি কি করা উচিত -
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে করনীয় -
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘন্টা পূর্বে সকল ধরনের সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার শোবার ঘর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি বিছানা আরামদায়ক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখুন। ঘুমের আগে ঘরের সব বাতি নিভিয়ে হালকা আলোতে বই পড়তে পারেন অথবা সফট কোন মিউজিক বা গান শুনতে পারেন।
মস্তিষ্ক সুস্থ ও বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থেকে বিরত থাকুন -
আপনার মস্তিষ্ক সুস্থ ও কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুমকে মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক খাবারও বলা হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কাজে মনোযোগ ও উদ্দীপনা কমে যায়। নিজেকে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থেকে বিরত রাখতে হালকা কিছু ব্যায়াম ও মেডিটেশন খুবই উপকারী।
বিছানায় যাবার সময় নির্ধারণ করুন -
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে রাত ১০-১১টার মধ্যে ঘুমানো খুবি ভালো সময়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিৎ। রাতে কাজ থাকলে সেই কাজটি রাতে না করে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজটি করা ভালো।
স্বাস্থ্যকর খাবার অনুসরণ করুন -
স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান। অতিরিক্ত তেল ও মসলা জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। চা, কফি যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। ঘুমানোর আগে গরম দুধ পান করতে পারেন। সব ধরনের মাদক গ্রহণ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
শারীরিক পরিশ্রম ও মেডিটেশন -
যাদের অনিদ্রার জনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য ব্যায়াম হলো সর্বোত্তম, নিরাপদ এবং সুলভ চিকিৎসা। নিয়মিত হালকা কিছু ব্যায়াম ও মেডিটেশন করলে করার ফলে মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে আসে এবং ভালো ঘুম হয়ে থাকে।
সতর্কতা -
অনেকেই ঘুম না হলে ঘুমের ওষুধ নিজে নিজেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটা একদমই উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ঘুমের ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।।
Post a Comment